স্টাফ রিপোর্টার ॥ বরিশাল র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদস্যরা শহরে অভিযান চালিয়ে তিনটি ট্রাকভর্তি বিপুল পরিমাণ চিংড়ি রেণুসহ ১৯ জনকে আটক করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৬টার দিকে ট্রাক তিনটি শহরের দপদপিয়া টোল প্লাজার সম্মুখে এই সফল অভিযান পরিচালিত হয়।
বরিশাল র্যাব অফিস সূত্র জানিয়েছে- পটুয়াখালী থেকে চিংড়ি রেণু পাচার হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। তিনটি ট্রাক (ট্রাকের নম্বর খুলনা মেট্রো ট-১১-১২৭১, যশোর মেট্রো ট-১১-৩৫০২ ও ঢাকা মেট্টো ট-১৬-৪৭৬৬) তল্লাশি করে ৯৬ টি ড্রামের ভেতর আনুমানিক ৯ লাখ ৬০ হাজার পিস চিংড়ির রেণু পাওয়া যায়। এই রেণুর বর্তমান বাজার মূল্য আনুমানিক অর্ধকোটি টাকার বেশি। এই ঘটনায় আটকরা হলেন- ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার হামিদপুর গ্রামের মো. শাহজাহান আলীর ছেলে মো. সোহাগ (১৯), আসলামপুর গ্রামের মৃত সাকু মাঝির ছেলে মো. আব্দুল কাদের (৩০), হামিদপুর গ্রামের নুরুজ্জামানের ছেলে মো. মাসুদ শেখ (১৮), আয়শাবাদ গ্রামের মৃত সবুদ আলীর ছেলে মো. মাসুদ (২০), তজুমদ্দিন উপজেলার চাচরা গ্রামের কবির হোসেনের ছেলে মো. শাহ আলম (২৫), একই উপজেলার হাজীকান্দির ইসমাইল হাওলাদারের ছেলে মো. হুমায়ন (২০), উপজেলার কেয়ামুল্লাহ গ্রামের মো. জসিমের ছেলে মো. সাকিল (১৮), একই গ্রামের মো. শফিউল্লাহর ছেলে মো. সোহাগ (১৮), রোবহানউদ্দিন উপজেলার মুলাইপত্তনী গ্রামের মো. রতন মোল্লার ছেলে মো. ফরিদ (২২), উপজেলার হাশেমগনগর গ্রামের মো. মফিজুল ইসলামের ছেলে মো. নীরব হোসেন (২২), একই গ্রামের মৃত বলুকের ছেলে মো. ইব্রাহিম (২২), আব্দুর রহিমের ছেলে মো. ফরহাদ (২২), পিরোজপুরের রায়েরকাঠি এলাকার সাহেব আলীর ছেলে মো. নাজমুল (১৯), খুলনা জেলার কয়রা থানার মো. দিদারুল ইসলামের ছেলে মো. রাসেল গাজী (২২), বাগেরহাটের সাদুল্লাপুর গ্রামের আব্দুর রহমান মল্লিকের ছেলে মো. আল আমিন মল্লিক (৩০), একই জেলার মির্জাপুর গ্রামের মো. লুৎফর শেখের ছেলে মো. ইরান শেখ (২৪), গেরহাটের মুলচর থানার শাহজালালের ছেলে মো. কবির হাওলাদার (২২), ফকিরহাটের আটকানী গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে মো. আলম (৩৫) এবং গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার মৃত আলমগীর শেখের ছেলে মো. শহিদুল শেখ (২৩)। বরিশাল জেলা মৎস্য অফিসের কর্মকর্তা (ইলিশ) বিমল চন্দ্র দাস জানিয়েছেন- এই ঘটনায় আটক ১৯ জনকে চিংড়ি রেণুপোনা সংরক্ষণ আইন ১৯৫০ এর ৪ ধারা (মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষণ বিধি মালা ১৯৮৫ এর ৮(১এ) লঙ্ঘন করে আইনের ৫(১) ধারার অপরাধ করেছেন। যে কারণে তাদের প্রত্যেককে বরিশাল জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা ইসলামের ভ্রাম্যমাণ আদালতে তুলে ৩ টাকা করে জরিমানা করা হয়।” এদিকে উদ্ধার চিংড়ি রেণুগুলো অবমুক্ত করার জন্য পায়রা নদীতে পাঠানোর আর্দেশ দিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট।’
Leave a Reply